“আর তােমরা তােমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।” – (সূরা নূর – ৩২)।

কোন এক সময়ে কোন এক গ্রামে এক পরিবারে দুই ভাই ছিল। দুজনেই বেশ ধার্মিক। পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা ভালোই দিন পার করছিল । হঠাৎ বড় যে ভাই তার একদিন মাথায় ভূত চাপল যে এভাবে বাড়ীতে থেকে ধর্মকার্যে সিদ্ধি লাভ হবেনা, সিদ্ধি লাভ করতে চাইলে তাকে ফকির দরবেশদের মত বন- জঙ্গল , দেশ- বিদেশ ঘুরে বেড়াতে হবে। তাই পরের দিন সে এসব কথা তার ছোট ভাইকে জানিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাল।

তো বড় ভাই যাওয়ার পর আরো ১০- ১২ বছর কেটে গেছে। ছোট ভাই বাড়ীতে ছিল সে বিয়ে করে এখন ২ ছেলে- মেয়ের জন্মদাতা। হঠাৎ একদিন কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে বড় ভাই বাড়ীতে এসে হাজির। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ, দাড়ী বড় হয়ে যত্নের অভাবে জট বেধে গিয়েছে। এমন চেহাড়ায় বড় ভাইকে দেখে ছোট ভাই বল্ল ,”দাদা তুমি নিশ্চয়ই দেশ বিদেশ ঘুরে অনেক গায়েবী শক্তি লাভ করেছ?”


বড় ভাই সগৌরবে বল্ল তা অল্প- বিস্তর লাভ করেছি বৈকি। শুনে ছোট ভাই বল্ল তাহলে সেই ক্ষমতার বলে আমাদের নারকেল গাছ টা থেকে একটা ডাব হাতে নিয়ে আস দেখি। বড় ভাই লজ্জা মিশ্রিত হাসি মুখ করে বল্ল সেই পর্যন্ত এখনো যেতে পারিনি। তখন ছোট ভাই তার ছেলেকে ডাক দিয়ে বলল, “খোকা তোর জ্যাঠামশাইয়ের জন্য একটা কচি ডাব পেরে নিয়ে আয়তো।”


বাবার আদেশ শুনে ছেলে লুঙ্গি কাছাই দিয়ে দা নিয়ে গাছে উঠে ডাব পেরে ওর জ্যাঠামশাই কে খেতে দিল। তারপর ছোট ভাই গর্ব করে বড় ভাইকে বল্ল তুমি এত বছর সাধনা করে যে সিদ্ধি লাভ করতে পারনি আমি বাড়ীতে থেকে বিয়ে করে সেই সিদ্ধি লাভ করেছি ☺️

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*