কষ্ট-ভোগান্তি আর কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঢাকামুখী মানুষ

ঈদ শেষে রাজধানীর দিকে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে পাটুরিয়া ঘাটে এসে দূরপাল্লার বাস না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। এতে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের।

লঞ্চ বন্ধ থাকায় যানবাহনের পাশাপাশি ফেরিতে যাত্রী পার হচ্ছে। ফলে মানুষের চাপে ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার উপায় নেই। গাদাগাদি করে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েই তারা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়ছে।

ঘাট কতৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।

করিম শেখ নামের এক যাত্রী জানান, যাওয়ার সময় যেমন কষ্ট করে গিয়েছিলাম। আবার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করে কর্মস্থলে ফিরতেও একই রকম কষ্ট করতে হচ্ছে। তবে, তার থেকেও বেশি কষ্ট বাবা-মাকে রেখে আসার। আমাদের এ কষ্টের শেষ নেই।

এদিকে বাড়তি ছুটি থাকা সত্ত্বেও ভিড় এড়াতে অনেকে আগেই কর্মস্থলে ফিরছেন। তেমনই একজন সেকেন্দার। ভিড় বাড়ার আশঙ্কায় বাড়তি ছুটি থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় ফিরছেন তিনি। বলেন, বাড়িতে পরিবারের সবাইকে রেখে আসলাম। কষ্ট হচ্ছে। হলে কি হবে, তাও তো যেতে হবে, তাই যাচ্ছি। ছেলেটার দিকে তাকালে মনে হয় আর না আসি। তারপর আসতেই হবে। তাই আগেই আসলাম যাতে ভিড় কম হয়।

ঘাটের ব্যবস্থাপক এজিএম মো. নাছির আহম্মেদ জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা সব ফেরি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে চালাচ্ছি। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ আরও বাড়ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*