পাকিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থা ‘ইসলামিকরণের’ উদ্যোগ নিয়েছে ইমরান খানের সরকার

পাকিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থা একমুখি করার উদ্যোগ নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। তবে সমালোচকরা বলছেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এ পদক্ষেপে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে প্রাথমিক শিক্ষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরান পুরোপুরি পাঠ করা বাধ্যতামূলক করা হবে। সঙ্গে নামাজ পড়া এবং বেশ কিছু হাদিস মুখস্থ করানোরও উদ্যোগ নেয়া হবে।

এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দু’জন সনদপ্রাপ্ত হাফিজকে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।

ইসলামাবাদভিত্তিক শিক্ষাবিদ আব্দুল হামিদ নায়ার মনে করেন, ইমরান খান সরকারের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো ইসলামিকরণের এ উদ্যোগ সমাজে জাতিগত বিভেদ আরো বাড়াবে এবং এখনো বিদ্যমান জাতিগত বৈচিত্র্য আরো কমাবে।

ইসলামাবাদের নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট পারভেজ হুদভয় বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটা আসলে জেনারেল জিয়াউল হকের সময়কার ইসলামিকরণের প্রয়াসকেও ছাড়িয়ে যাবে।

লাহোরের মানবাধিকার কর্মী পিটার জ্যাকব বলেন, ইমরান খান সরকার পাঠক্রমে শতকরা অন্তত ৩০ ভাগ ইসলামি ‘কন্টেন্ট’ রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে অনেকে এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সরকার দলীয় সাংসদ মুহাম্মদ বশির খান অবশ্য মনে করেন, ‘আদর্শগতভাবে পাকিস্তান একটি ইসলামি রাষ্ট্র আর তাই এখানে ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সিলেবাসকে এখনো পুরোপুরি ‘ইসলামি’ করা হয়নি। আমাদের পাঠক্রমের আরো ইসলামিকরণ প্রয়োজন।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*