জনগণের শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই -মেয়র প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণ। সর্বত্রই চলছে আলোচনা, বইছে নির্বাচনী হাওয়া।

সারা দেশের ন্যায় আলোচিত নোয়াখালী পৌরসভাতেও নবীন এবং প্রবীণসহ সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন নিজেদের প্রচার প্রচারণা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরাও বিভিন্ন ভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নোয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।

মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু পৌরসভার সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের আওয়ামীলীগ করি। আমি এবং আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আলহাজ্ব একরামুল করিম চৌধুরী এমপি মহোদয় আমাকে নৌকা প্রতীক দিবে বলে আমি আশাবাদী। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।

পারিবারিক এবং রাজনৈতিক সূত্র থেকে জানা যায়, একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। মানুষের সেবা করাকেই তিনি মহান ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু নির্বাচিত হলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন এ গ্রেডের নোয়াখালী পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট হবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নেতা কর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করছেন।

নিজের অবস্থান আরো সুসংহত করতে তিনি নিয়মিত পৌরসভার ভিবিন্ন ওয়ার্ডে গনসংযোগ করছেন এবং নিজের প্রার্থিতা জানান দিয়ে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও আগামীতে আর কি কি হতে যাচ্ছে সেই বার্তাও পৌছে দিচ্ছেন।

আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর মেজো ভাই মরহুম আব্দুল করিম এবং সেজো ভাই মরহুম আব্দুল জলিল নান্টু উভয়ই মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম হাজী আব্দুস সোবহান সাহেব বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং ১৯৭৫এর ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেন।

আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু নোয়াখালী শহরেই জন্মগ্রহণ করেন এবং ছাত্রজীবন থেকে অদ্যাবধি নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং দলীয় সকল কর্মকাণ্ড ও সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৯০সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বহুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন,১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া বিরোধী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন গ্রেফতার হয়ে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং কারাভোগ করেছেন, ২০০১সালে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার ও নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনে আবার গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন এবং কারাভোগ করেন। ২০০৭-০৮সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আরো বলেন,আমি আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে শাসক নয় নিজে জনগনের সেবক হয়ে কাজ করবো।পৌরসভাতে মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত করতে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি। সে উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করে দীর্ঘ দিন ধরে পৌরসভার বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এছাড়া সবসময় তিনি অসহায় দুস্থ্য মানুষের সুখ দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ডসহ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এলাকায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু নোয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়াও আরও দায়িত্ব পালন করছেন-যেমন তিনি
নির্বাচিত সদস্য -বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), সাধারণ সম্পাদক -নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থা (২০১০ইং হইতে পরপর তিন বার নির্বাচিত), কার্যকরি কমিটি সদস্য -রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালী, সভাপতি-পৌরবাজার জামে মসজিদ, সদস্য- নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, সদস্য- সোনাপুর ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডি, সদস্য- মাইজদী পাবলিক কলেজ গভর্নিং বডি, সভাপতি বালিকা বিদ্যানিকেতন স্কুল, সভাপতি – হরিনারায়নপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এবং হরিনারায়নপুর সঃ প্রাঃ স্কুল ।

আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু জানান, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেকার যুবক-যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ করব। নারী ও শিশু নির্যাতন, মানব পাচার, এসিড, সন্ত্রাস,ড্রানেজ ব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ এবং মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। দীর্ঘ দিনের জরাজীর্ণতাকে পিছনে ফেলে পৌরসভায় জবাবদিহিতার মাধ্যমে সকল উন্নয়ন মূলক কাজ ত্বরান্বিত করবো। সর্বপরি সকলের সহযোগিতায় নোয়াখালী পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু । এ জন্য তিনি সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন কামনা করেন ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*