বিশ্বের সবচেয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ চীন: মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সিলেট

১৯৮৯ সালের ৪ জুন চীনের তিয়েনানমেন স্কয়ারে নিরীহ ছাত্র গণহত্যা ও চীন সরকারের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সিলেট এর উদ্যোগে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৪জুন) বিকাল ৩টায় পরিষদের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ. এইচ.এম. সোহাইল এর পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল হেলাল, আমিনুল ইসলাম, শিব্বির আলম খান, আফসারুল আমিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হচ্ছে চীন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ১৯৮০ সালে তৎকালীন কমিউনিস্ট সরকার বেসরকারী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন দিতে শুরু করলে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত দেখা দেয় ও ছাত্রদের নেতৃত্বে দেশবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে ওঠে।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৮৯ সালের তিয়েনানমেন স্কয়ারে প্রায় দশ লাখ ছাত্র বিক্ষোভ করে। চীন সরকার এই আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের উপর সেনাবাহিনী দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এতে অসংখ্য ছাত্র নিহত হয়।

বক্তারা চীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বিশ্বের সকল দেশে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, চীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো, উইঘুর মুসলমানদের উপর সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন, বন্দিশালায় মুসলমানদের উপর জুলুম, উইঘুর মুসলিমদের মসজিদে আজান ও নামাজ পড়তে বাধা, মুসলিম নারীদের পর্দা- হিজাব পরিধান ও শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা।

বক্তারা চীন সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সমাজ সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এ ছাড়াও সংগঠনের উদ্যোগে সিলেট নগরীর প্রায় শতাধিক স্পটে চীনের ছাত্র গণহত্যা সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*