সেতুটির রাস্তা থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু হওয়ায় ৪ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকায় একটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার চার গ্রামের মানুষেরা। কান্দাপাড়া, মরবদী, বৈদ্যেরকান্দা ও কাজরদী গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতে এ সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষও এ সেতু দিয়ে চলাচল করে।

সেতুটির দুপাশ রাস্তা থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু হওয়ায় এ সেতু দিয়ে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশাসহ ভারী কোনো যানবাহন চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেতুর মূল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে রোগীদের যাতায়াত এবং এলাকাবাসী তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতে বিপাকে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের আওতায় গত পাঁচ বছর আগে অলিপুরা-সনমান্দী খালের ওপর প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কান্দাপাড়া সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। সেতুটির দুপাশের রাস্তার সঙ্গে মিল রেখে নির্মাণের দাবি জানালেও তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেননি বলে জানান ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

কান্দাপাড়া এলাকার মনির সিকদার বলেন, ‘এ সেতুটি আমাদের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল কিন্তু নির্মাণত্রুটির কারণে এর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বেশ ভোগান্তিতে আছি।’

একই এলাকার কৃষক মোহন জানান, এ সেতুর অদূরে একটি প্রাইমারি স্কুল আছে। শিশুরা বেশ কষ্ট করে এ সেতু দিয়ে পার হয়। তাছাড়া জমি থেকে ফসল আনা-নেওয়ায় বেশ কষ্ট করতে হয়। সেতুটি দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য দাবি জানান তিনি।

সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ বলেন, ‘এ সেতুটি আমার মেয়াদের আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি একেবারেই অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে এ সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মানুষ। সেতুটি কীভাবে যান চলাচলের উপযোগী করা যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’

সেতুটির নির্মাণকারী ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ‘সেতুটি টেন্ডার পাওয়ার পর এর নকশা অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী সেতুটি নিচু করে নির্মাণের দাবি জানালেও তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে এখানে আমার করার কিছুই ছিল না।’

বর্তমান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জাব্বার বছরখানেক আগে সোনারগাঁয়ে যোগদানের কারণে এ সেতু সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, ‘সেতুটি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আমরা এটা যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*