তিন মুসলিম দেশের সঙ্গে মিত্রতা চায় ইসরায়েল

গত মাসে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ১১ দিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিনটি মুসলিম দেশ। ওই হামলায় ফিলিস্তিনি পক্ষে শিশুসহ আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন। আর হামাসের পাল্টা রকেট হামলায় ইসরায়েলের প্রাণ গেছে ১৩ জনের। এই হামলার ঘটনাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন’ উল্লেখ করে তা বন্ধে জাতিসংঘের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই।

ইসরায়েলের সঙ্গে এই তিন দেশের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ নিরসনে ঐতিহাসিকভাবে ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক’ সমাধানের ধারণা সমর্থন করে এসব দেশ। এই তিন দেশের সমালোচনার জবাবে সাগি কারনি বলেন, মুসলিমপ্রধান এই তিন দেশের নেতারা সংঘাতের প্রকৃত ধরন উপলব্ধি করতে পারেননি। এটা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়।

তিন মুসলিম দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহের কথা জানিয়ে সাগি কারনি আরও বলেন, ‘আমরা (ইসরায়েল) আলোচনার জন্য সব সময় প্রস্তুত। দরজা উন্মুক্ত আছে। আমি মনে করি না, সুসম্পর্ক স্থাপনের পথ খুব একটা কঠিন হবে।’

উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে ইসরায়েলের দূতাবাস রয়েছে। অন্যদিকে আরব বিশ্বের চারটি মুসলিম দেশ—বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সুদান ও মরক্কো গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*