কেউ হেঁটে, কেউবা রিকশায় পার হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়। মোড় পার হয়েই আবার তারা চড়ছেন ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনে। অনেকে উঠে পড়ছেন ট্রাক ও পিকআপের পেছনে।
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় আজ রোববার দুপুরের দৃশ্য এটি। এই মোড়ের দুই পাশেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি। নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সড়কেও একই পরিস্থিতি।
যানজটের কারণে প্রচুর মানুষ যানবাহন থেকে নেমে হেঁটেই মোড় পার হচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সকাল থেকেই সাইনবোর্ড এলাকায় মানুষ ও যানবাহনের এমন চাপ চলছে।
আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ এবং বৃহস্পতিবার থেকে পুরোপুরি শাটডাউন চলবে সারা দেশে। এ কারণেই আজ মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন। সাইনবোর্ড এলাকায় প্রচুর মানুষ বিভিন্ন যানের জন্য অপেক্ষা করছেন। অধিকাংশই বাড়ির পথ ধরছেন। কেউ কেউ রাজধানীতে চিকিৎসক দেখানো, ব্যবসার কাজে এসে বাড়ি ফিরছেন।
বেলা দেড়টার দিকে দেখা হয় রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে মাতুয়াইল শিশু ইনস্টিটিউটে চিকিৎসক দেখাতে এসেছিলেন তিনি। এসেছিলেন মেঘনাঘাট থেকে। ফিরছেন সে পথেই। সঙ্গে আছেন স্ত্রী। রফিকুল বললেন, মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। এ কারণেই চিকিৎসক দেখাতে আনলাম। সকালে আসতে ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ফিরতে ২০০ টাকা। মাতুয়াইল থেকে হেঁটে এলাম। মেয়েটা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।বিজ্ঞাপন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শুরু সাইনবোর্ড থেকে। দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাতুয়াইল থেকে সাইনবোর্ড প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজট আছে। ঢাকা থেকে বের হতে সাইনবোর্ড থেকে যানগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই এই মোড়ে যানজট বেশি। একইভাবে ঢাকামুখী পথেও যানজট আছে।বিজ্ঞাপন
নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে মানুষের চাপ অনেক বেশি। সবকিছু বন্ধ হওয়ার আগে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যেতে চাইছে। এ কারণেই সড়কে প্রচুর মানুষ। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কোনো বাসকে সাইনবোর্ড পার হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে পিকআপ, ট্রাকসহ পণ্যবাহী যান ছাড়া হচ্ছে। রোগী, জরুরি সেবা, বিদেশগামী ব্যক্তিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।
অমৃত সূত্রধর আরও জানান, মাইক্রোবাস, পিকআপ বা মোটরসাইকেলে করে অনেকে যাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্টে জিজ্ঞাসা করছেন। জরুরি কারণ দেখাতে না পারলে অর্থদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply